‘স্বপ্নের আত্মহত্যা’ কাব্য গ্রন্থ: নতুন বই, নতুন লেখক
[Best_Wordpress_Gallery id=”9″ gal_title=”Full Cover”]
লম্বা গোঁফ, কোঁকড়ানো চুল, চোখে কালো চশমা ওয়ালা এক ভদ্র বা অভদ্র লোক বইয়ের দোকানে এসে বললো, “খবরদার কেউ এক চুলও নড়াচড়া করবানা। ‘স্বপ্নের আত্মহত্যা’ নামের যত বই আছে সব এই থলেতে দিয়ে দাও, আর এই নাও ক্রেডিট কার্ড যত ইচ্ছে টাকা তুলে নাও।
বললাম: হুজুর, এত টাকা দিয়ে সব এক সাথে কিনছেন কেন? অন্যরা কি পড়বে?
বললো: শয়তান, কথা কইছনা! এত জঘন্য লেখা অন্য কোন ভদ্র মাইনষে যাতে পড়তে না পারে! সেই জন্য!
আমি বললাম, তাইলে ঠিক আছে, এই যে নেন হুজুর!
ঠিক সেই সময় ‘ও’ গায়ে ধাক্কা দিয়ে বলল, এই উঠো উঠো অফিসের টাইম হইছে, আর ঘুমায়োনা!!
সেই দুঃস্বপ্ন থেকে এ লেখা…
বই বিক্রির ব্যাপারে আমি একদমই সিরিয়াস ছিলাম না। তাই বই বিক্রির জন্য খুব বেশি পাবলিসিটি বা মার্কেটিং করিনি। এমনকি কাউকে উৎসাহিতও করিনি। কারণ কি দরকার মানুষের ক্ষতি করার!
প্রথম সংস্করণ বলে কথা, তার মধ্যে নতুন লেখক এরপর হলো নতুন প্রকাশক। তার থেকে বড় কথা হলো কবিতার বই কেউ টাকা দিয়ে কিনে পড়তে চায়না। আর কিনেও বা পড়বে কেন? আমার ফেসবুকে আগেই সব কবিতা অনেকে পড়ে নিয়েছে।
এর মধ্যে বই এর পাতা, ইলাস্ট্রেশন যে কোয়ালিটির হওয়ার কথা সেটাও হয়নি। সেটা অবশ্য আমার দোষ না, প্রকাশক নামের ওই মানুষটার দোষ। এরপর দামও একটু বেশি হয়েছে।
কচি বয়সে কেউ প্রেম করে ধরা খায়, আবার কেউ বই লিখে। এটা ব্যাপার না। পরবর্তী সংস্করণে সব ভুল শুধরিয়ে নতুন আঙ্গিকে বের করবো। ইনশাআল্লাহ।
সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো। পাঠকরা আমার কাছ থেকে কবিতার বই থেকে গল্প বেশি আশা করেছিল। যতজন বইয়ের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছে, যখন শুনেছে কবিতার বই, তারা মনে হয় একটু আশাহত হয়েছেন। অনেকে আবার মুখের উপর বলেও দিয়েছেন। ভাই আপনি গল্প লিখলে ভালো করতেন।
দেখি পরবর্তীবার তাদের সেই আশা পূরণ করতে পারি কিনা।
যারা এত কিছুর পরও মেলায় গিয়ে কল দিয়েছেন। পকেটের টাকা খরচ করে ওই চিপা গলির ভিতরে গিয়ে এই গরিবের বই কিনেছেন। আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আপনারা যে টাকা দিয়ে বই কিনেছেন, ওই টাকা দিয়ে নিশ্চয় হোটেল সুপার স্টারে এক বেলা কাচ্চি বিরানি সহ বোরহানি খেতে পারতেন।
আল্লাহ আপনাদের পেট ও পকেটের অবস্থা ভালো রাখুন। সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন।
লেখা: রাশেদুল হায়দার
Leave a Reply